CWSA Set of 37 volumes
Writings in Bengali and Sanskrit Vol. 9 of CWSA 715 pages 2017 Edition
Bengali
 PDF   

Editions

ABOUT

All writings in Bengali and Sanskrit including brief works written for the newspaper 'Dharma' and 'Karakahini' - reminiscences of detention in Alipore Jail.

Writings in Bengali and Sanskrit

Sri Aurobindo symbol
Sri Aurobindo

All writings in Bengali and Sanskrit. Most of the pieces in Bengali were written by Sri Aurobindo in 1909 and 1910 for 'Dharma', a Calcutta weekly he edited at that time; the material consists chiefly of brief political, social and cultural works. His reminiscences of detention in Alipore Jail for one year ('Tales of Prison Life') are also included. There is also some correspondence with Bengali disciples living in his ashram. The Sanskrit works deal largely with philosophical and cultural themes. (This volume will be available both in the original languages and in a separate volume of English translations.)

The Complete Works of Sri Aurobindo (CWSA) Writings in Bengali and Sanskrit Vol. 9 715 pages 2017 Edition
Bengali
 PDF   

বাংলা রচনা




ধৰ্ম্ম




অহঙ্কার

আমাদের ভাষায় অহঙ্কার শব্দটীর এমন বিকৃত অর্থ হইয়া গিয়াছে যে, আৰ্য্যধর্মের প্রধান প্রধান তত্ত্ব বুঝাইতে অনেক সময় গােল হইয়া পড়ে ৷ গৰ্ব্ব রাজসিক অহঙ্কারের একটা বিশেষ পরিণাম মাত্র, অথচ সাধারণতঃ অহঙ্কার শব্দের এই অর্থই বােঝা যায় যে, অহঙ্কার ত্যাগের কথা বলিতে গর্ব পরিত্যাগ বা রাজসিক অহঙ্কার বর্জনের কথা মনে উঠে ৷ প্রকৃতপক্ষে অহংজ্ঞান মাত্রই অহঙ্কার ৷ অহংবুদ্ধি মানবের বিজ্ঞানময় আত্মার মধ্যে সৃষ্ট হয় এবং প্রকৃতির অন্তর্গত তিনটি গুণের ক্রীড়ায় তাহার তিন প্রকার বৃত্তি বিকশিত হয়, সাত্ত্বিক অহঙ্কার, রাজসিক অহঙ্কার ও তামসিক অহঙ্কার ৷ সাত্ত্বিক অহঙ্কার জ্ঞানপ্রধান ও সুখপ্রধান ৷ আমার জ্ঞান হইতেছে, আমার আনন্দ হইতেছে, এই ভাবগুলি সাত্ত্বিক অহঙ্কারের ক্রিয়া ৷ সাধকের অহং, ভক্তের অহং, জ্ঞানীর অহং, নিষ্কাম কৰ্ম্মীর অহং সত্ত্বপ্রধান, জ্ঞানপ্রধান, সুখপ্রধান ৷ রাজসিক অহঙ্কার কৰ্ম্মপ্রধান ৷ আমি কৰ্ম্ম করিতেছি, আমি জয় করিতেছি, পরাজিত হইতেছি, চেষ্টা করিতেছি, আমারই কাৰ্য্যসিদ্ধি, আমারই অসিদ্ধি, আমি বলবান, আমি সিদ্ধ, আমি সুখী, আমি দুঃখী, এই সকল ভাব রজঃপ্রধান, কৰ্ম্মপ্রধান, প্রবৃত্তিজনক ৷ তামসিক অহঙ্কার অজ্ঞতা ও নিশ্চেষ্টতায় পূর্ণ ৷ আমি অধম, আমি নিরুপায়, আমি অলস, অক্ষম, হীন, আমার কোনও আশা নাই, প্রকৃতিতে লীন হইতেছি, লীন হওয়াই আমার গতি, এই সকল ভাব তমঃপ্রধান অপ্রবৃত্তি ও অপ্রকাশজনক ৷ যাঁহারা তামসিক অহঙ্কারে ক্লিষ্ট, তাহাদের গর্ব নাই, অথচ অহঙ্কার পূর্ণমাত্রায় আছে, কিন্ত সেই অহঙ্কার অধােগতি, নাশ ও শূন্যব্রহ্মপ্রাপ্তির হেত ৷ যেমন গর্বের অহঙ্কার আছে তেমনই নম্রতার অহঙ্কারও আছে, যেমন বলের অহঙ্কার আছে, তেমনই দুর্বলতার অহঙ্কারও আছে ৷ যাঁহারা তামসিকভাবে গর্বহীন, তাহারা অধম, দুৰ্বল, ভয়ে ও নিরাশায় পরপদানত ৷ তামসিক নম্রতা, তামসিক ক্ষমা, তামসিক সহিষ্ণুতার কোনও মূল্য নাই ও কোনও সুফল নাই ৷ যিনি সর্বত্র নারায়ণকে দর্শন করিয়া সকলের নিকট নম্ব, সহিষ্ণু ও ক্ষমাবান্ হন, তাহারই পুণ্য হয় ৷ যিনি এই সকল অহষ্কৃত বৃত্তি পরিত্যাগ করিয়া ত্রৈগুণ্যময়ী মায়াকে অতিক্রম করেন, তাঁহার গর্বও নাই, নম্রতাও নাই, ভগবানের জগন্ময়ী শক্তি তাহার মনপ্রাণরূপ আধারে যে ভাব দেন, তিনি তাহা লইয়া সন্তুষ্ট, অনাসক্ত ও অটল শান্তি ও আনন্দ প্রাপ্ত হইয়া থাকেন ৷ তামসিক অহঙ্কার সৰ্বৰ্থা বর্জনীয় ৷ রাজসিক অহঙ্কারকে জাগাইয়া সত্ত্ব-প্রসূত জ্ঞানের সাহায্যে তাহা নির্মূল করা উন্নতির প্রথম সােপান ৷ রাজসিক অহঙ্কারের হস্ত হইতে মুক্তির উপায় জ্ঞান ও শ্রদ্ধা ও ভক্তির বিকাশ ৷ সত্ত্বপ্রধান ব্যক্তি বলেন না যে, আমি সুখী; তিনি বলেন, আমার প্রাণে সুখবিকাশ হইতেছে, তিনি বলেন না যে, আমি জ্ঞানী; তিনি বলেন, আমার মধ্যে জ্ঞানসঞ্চার হইতেছে ৷ তিনি জানেন যে, সেই সুখ ও জ্ঞান তাহার নহে, জগন্মাতার ৷ অথচ সর্বপ্রকার অনুভবের সহিত যখন আনন্দসম্ভোগের জন্য লিপ্ততা থাকে তখন সেই জ্ঞানী বা ভক্তের ভাব অহষ্কৃত ৷ “আমার হইতেছে”, যখন বলা হয় তখন অহংবুদ্ধি পরিত্যাগ করা হইল না ৷ গুণাতীত ব্যক্তিই সম্পূর্ণ অহঙ্কারজয়ী ৷ তিনি জানেন, জীব সাক্ষী ও ভােক্তা, পুরুষােত্তম অনুমন্তা, প্রকৃতি কৰ্ত্তা, ইহার মধ্যে “আমি” নাই, সবই একমেবাদ্বিতীয়ং ব্রহ্মের বিদ্যা-বিদ্যাময়ী শক্তির লীলা ৷ অহংজ্ঞান জীব-অধিষ্ঠিত প্রকৃতির মধ্যে একটী মায়াপ্রসূত ভাবমাত্র ৷ এই অহংজ্ঞানরহিত ভাবের শেষ অবস্থা সচ্চিদানন্দে লয় ৷ কিন্তু যিনি গুণাতীত হইয়াও পুরুষােত্তমের ইচ্ছায় লীলা-মধ্যে অবস্থান করেন, তিনি পুরুষােত্তম ও জীবের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব রক্ষা করিয়া আপনাকে প্রকৃতিবিশিষ্ট ভগবদংশ বুঝিয়া লীলার কার্য সম্পন্ন করেন ৷ এই ভাবকে অহঙ্কার বলা যায় না ৷ এই ভাব পরমেশ্বরেরও আছে, তাহার মধ্যে অজ্ঞান ও লিপ্ততা নাই, কিন্তু আনন্দময় অবস্থা স্বস্থ না হইয়া জগন্মুখী হয় ৷ যাঁহার এই ভাব, তিনিই জীবন্মুক্ত ৷ লয়-রূপ মুক্তি দেহপাতে লাভ করা যায় ৷ জীবন্মুক্তদশা দেহেই অনুভূত হয় ৷









Let us co-create the website.

Share your feedback. Help us improve. Or ask a question.

Image Description
Connect for updates