CWSA Set of 37 volumes
Writings in Bengali and Sanskrit Vol. 9 of CWSA 715 pages 2017 Edition
Bengali
 PDF   

Editions

ABOUT

All writings in Bengali and Sanskrit including brief works written for the newspaper 'Dharma' and 'Karakahini' - reminiscences of detention in Alipore Jail.

Writings in Bengali and Sanskrit

Sri Aurobindo symbol
Sri Aurobindo

All writings in Bengali and Sanskrit. Most of the pieces in Bengali were written by Sri Aurobindo in 1909 and 1910 for 'Dharma', a Calcutta weekly he edited at that time; the material consists chiefly of brief political, social and cultural works. His reminiscences of detention in Alipore Jail for one year ('Tales of Prison Life') are also included. There is also some correspondence with Bengali disciples living in his ashram. The Sanskrit works deal largely with philosophical and cultural themes. (This volume will be available both in the original languages and in a separate volume of English translations.)

The Complete Works of Sri Aurobindo (CWSA) Writings in Bengali and Sanskrit Vol. 9 715 pages 2017 Edition
Bengali
 PDF   

বাংলা রচনা




“ধর্ম” পত্রিকার সম্পাদকীয়




সম্পাদকীয় – ৮

ধৰ্ম্ম, ৮ম সংখ্যা, ২৫শে আশ্বিণ, ১৩১৬

বিলাতের দূত

যেমন ভারতে, তেমনই বিলাতে বহু রাজনীতিক সম্প্রদায় ও বিভিন্ন মত ইংরাজ জাতিকে নানা দলে বিভক্ত করে এবং তাহাদের সংঘর্ষে দেশের উন্নতি ও অবনতি সংসাধিত হয় ৷ মধ্যে মধ্যে এক এক সম্প্রদায়ের দূতস্বরূপ কোন বিখ্যাতনামা সংবাদপত্রলেখক বা পার্লামেন্টের সভাসদ এই দেশে আগমনপূর্বক লােকমত ও দেশের অবস্থা কতক অবগত হইয়া স্বদেশে প্রত্যাগমন করেন ৷ ভারতে নবজাগরণ ও দেশব্যাপী অশান্তির গুণে অনেক ইংরাজের দৃষ্টি আমাদের দিকে আকৃষ্ট হইয়াছে, নবীন, উন্নতিশীল শ্রমজীবী দলে এইরূপ জ্ঞানাকাঙক্ষা সুস্পষ্ট লক্ষিত হয় ৷ তাহাদের প্রতিনিধিস্বরূপ মিঃ কীর হার্ডি এই দেশে আগমন করিয়াছিলেন, আবার সেই দলের একজন প্রসিদ্ধ নেতা, মিঃ র্যামসী ম্যাকডনাল্ড সেই উদ্দেশ্যেই আসিয়াছেন ৷ শ্রমজীবী দলের মধ্যে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দল আছে, এক দলের নেতা মিঃ ম্যাকডনান্ড, তাঁহারা অপেক্ষাকৃত মডারেট ৷ একদলের নেতা মিঃ কীর হার্ডি, তাহারা তত নরমপন্থী নহেন ৷ তাহা ভিন্ন চরমপন্থী ও সােসালিস্ট আছেন, তাঁহারা কীর হার্ডি ও ম্যাকডনাল্ড প্রভৃতিকে গ্রাহ্য করেন ৷ না ৷ মিঃ ম্যাকডনাল্ড কীর হার্ডির ন্যায় বক্তৃতা ও মতপ্রচার করিতে অনিচ্ছুক, তিনি সংযতভাবে স্বীয় জ্ঞানলিপ্সা তৃপ্ত করিতে কৃতসংকল্প ৷ এই প্রশংসনীয় উদ্যোগে তিনি সকলের সাহায্য গ্রহণ করিতে প্রস্তুত ৷ তিনি এক ফরাসী সংবাদপত্রের প্রতিনিধিকে বলিয়াছেন, “আমি অপেক্ষাকৃত উন্নতমতাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের মুখপাত্র মিঃ অরবিন্দ ঘােষের বক্তব্য শ্রবণে সন্তুষ্ট হইব না, মধ্যপন্থীদলভুক্ত মিঃ ব্যানার্জী ও নরমপন্থী মিঃ গােখলের সহিত সাক্ষাৎ করিবার আশা পােষণ করি ৷ বৃটিশ শাসনতন্ত্রের প্রধান প্রধান কর্মচারী ও গ্রীরসন প্রভৃতির ন্যায় প্রধান ব্যাঙ্কের চালকগণের সহিতও পরামর্শ করিব ৷” মিঃ ম্যাকডনাল্ড লর্ড মরলীর শাসন সংস্কার উদার বলিয়া প্রশংসা করিয়াছেন এবং ভারতবাসী এইরূপ উদার সংস্কারের উপযুক্ত কি না তাহা স্বয়ং দেখিতে চাহেন ৷ দুই মাস বা তিন মাস ভারতে ঘুরিয়া ভারতবাসীর উপযুক্ততা সম্বন্ধে মিঃ ম্যাকডনান্ড স্বয়ং কিরূপে স্থির সিদ্ধান্ত করিতে সমর্থ হইবেন, তাহা আমরা বুঝিতে অক্ষম ৷ মিঃ ম্যাকডনাল্ড বিলাতের একজন প্রধান প্রজাতন্ত্র-সমর্থক; বৃটিশ সাম্রাজ্য প্রজাতন্ত্রবাদীর আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত, তিনি এই মত প্রকাশ করিয়াছেন ৷ এইরূপ উদারনীতিকের মুখে মরলীর সংস্কারের উদারতা-প্রশংসা যখন শুনিতে হইল, দেশবাসী বুঝুন, বিলাতে আন্দোলন করায় আমাদের পরিশ্রম ও অর্থব্যয়ের উপযুক্ত ফললাভের সম্ভাবনা কত সুদূরপরাহত ৷


জাতীয় ঘোষণাপত্র

আমাদের রাজনীতিক কর্তাদের গভীর, সূক্ষ্ম ও নানাপথগামী রাজনীতিক বুদ্ধির রহস্যময় গতি সর্বদা ক্ষুদ্র-বুদ্ধি সাধারণ লােকের বােধগম্য হয় না ৷ ৭ই আগষ্ট কলেজ স্কোয়ার হইতে মিছিল বাহির হইবার কথা লইয়া গােল হইয়াছিল ৷ কলেজ স্কোয়ারের নামে কর্তারা এত ভীত হইয়াছিলেন যে, সেই দিন সভাপতি সভাপতিপদ ত্যাগ করিতে উদ্যত হইয়াছিলেন ৷ অগত্যা মিছিল পান্তির মাঠ হইতে বাহির হইবার ব্যবস্থা হইল ৷ তথাপি অতি অল্পসংখ্যক লােক তথায় উপস্থিত হইলেন, অধিকাংশ লােক কলেজ স্কোয়ারের মিছিলে যােগদান করিতে গেলেন অথবা স্ব স্ব স্থান হইতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল করিয়া সভাস্থলে উপস্থিত হইলেন ৷ তাহাতে ৭ই আগষ্টের মিছিলের শােভা নষ্ট হয় এবং বিপক্ষগণ লােকের উৎসাহ ও বয়কটে তাহার ন্যূনতার কথা লিখিবার অবসর পান ৷ এইবার কর্তারা সেই ভীতি জয় করিয়াছেন, ৩০শে আশ্বিনের বিজ্ঞাপনে কলেজ স্কোয়ার হইতে মিছিল বাহির হইবার কথার উল্লেখ আছে ৷ কিন্তু সেই বিজ্ঞাপনে জাতীয় ঘােষণাপত্র পাঠের কথা বর্জিত হইয়াছে ৷ গত বৎসরের বিজ্ঞাপনে ছিল, “সভায় স্বদেশী মহাব্রত-গ্রহণ, বিদেশী-বর্জন, বঙ্গ-ব্যবচ্ছেদের প্রতিবাদ ও জাতীয় ঘােষণাপত্র-পাঠ হইবে ৷” এবার সেই কথার পরিবর্তন হইয়াছে, “সভায় বিদেশী-বর্জন পূৰ্ব্বক স্বদেশী মহাব্রত গ্রহণ ও বঙ্গ-ব্যবচ্ছেদের প্রতিবাদ হইবে” লেখা আছে ৷ কৰ্ত্তারা “জাতীয়” কথায়, না “ঘােষণা” কথায়, না ঘােষণাপত্রের মৰ্ম্মার্থে ভীত হইয়াছেন, তাহা বুঝা যায় না ৷ শ্ৰীযুত আনন্দমােহন বসু ফেডারেশন হলের জমিতে প্রথম এই ঘােষণাপত্র পাঠ করিয়াছিলেন: – “যেহেতু সমগ্র বাঙ্গালী জাতির সর্বজনীন আপত্তি অগ্রাহ্য করিয়া গবর্ণমেণ্ট বঙ্গদেশকে দ্বিখণ্ড করাই স্থির করিলেন, অতএব আমরা বাঙ্গালী জাতি ঘােষণা করিতেছি যে, এই বিভাগ-নীতির কুফল নিবারণ করিবার জন্য এবং জাতীয় একতা সংরক্ষণকল্পে আমরা আমাদের সমগ্র শক্তি প্রয়ােগ করিব ৷ ঈশ্বর আমাদের সহায় হউন ৷”

জিজ্ঞাসা করি, ইহাতে এমন কি ভীষণ রাজদ্রোহসূচক কথা সন্নিবিষ্ট আছে যে, ৩০শে আশ্বিনের ভাবসূচক ও সমস্ত বঙ্গদেশের প্রতিজ্ঞাপ্রকাশক ঘােষণাপত্র সহসা বর্জন করিতে হইল? না মরলী ও মিন্টোর মনস্তুষ্টির জন্য এইরূপে নবােঙ্খিত জাতীয় ভাবকে খর্ব করা আবশ্যক হইল? আমরা বঙ্গভঙ্গের কুফল নিবারণ করিব, জাতীয় একতা সংরক্ষণ করিব, এই পবিত্র কর্তব্য কৰ্ম্মে সমগ্র শক্তি প্রয়ােগ করিব, এই কথাও ঘােষণা করিতে যদি সাহসে না কুলায়, তাহা হইলে ৭ই আগষ্টের ও ৩০শে আশ্বিনের অনুষ্ঠান বন্ধ কর ৷ এটুকু তেজ ও সাহস যদি না থাকে, তাহা হইলে জাতীয় জাগরণ ও উন্নতির চেষ্টা বিফল বুঝিতে হইবে, বৃথা তাহার বাহ্যিক আড়ম্বর করা মিথ্যাচার মাত্র ৷ জনসাধারণের সহিত পরামর্শ করিয়া এই পরিবর্তন করা হয় নাই, জনসাধারণ জাতীয় ঘােষণা বয়কট করিতে সম্মত হইবে না ৷ আমরা সকলকে বলি, যদি এই ভুল সংশােধিত হয়, ৩০শে আশ্বিনে সহস্রকণ্ঠে ঘােষণা পাঠের আদেশ কর, তাহার পরে যদি নেতাগণ সম্মত না হন, তাহা হইলে দায়িত্ব তাহাদের ৷


গুরু গোবিন্দসিংহ

শ্ৰীযুক্ত বসন্তকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণীত গুরু গােবিন্দসিংহের জীবনী সম্প্রতি আমাদের হস্তগত হইয়াছে ৷ এই পুস্তকে গুরু গােবিন্দসিংহের রাজনীতিক চেষ্টা ও চরিত্র সরল সহজ ভাষায় অতি সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হইয়াছে, কিন্তু শিখদের দশম গুরু কেবল যােদ্ধা ও রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি ধার্মিক মহাপুরুষ ও ভগবদাদিষ্ট ধর্মোপদেষ্টা ছিলেন, নানকের সাত্ত্বিক বেদান্ত শিক্ষাবহুল ধৰ্ম্মকে নূতন আকার দিয়াছিলেন, অতএব তাহার ধর্মমত ও তৎকৃত শিখধর্ম ও শিখসমাজের পরিবর্তন বিশদরূপে চিত্রিত হইলে এই সুন্দর জীবনী অসম্পূর্ণতা দোষে দূষিত হইত না ৷ লেখক সংক্ষেপে শিখজাতির পূর্ববৃত্তান্ত লিখিয়া গােবিন্দসিংহের চরিত্র ও আগমনের ঐতিহাসিক বীজ ও কারণ বুঝিবার সুবিধা করিয়াছেন ৷ সেইরূপে পরবর্তী বৃত্তান্তও সংক্ষেপে লিপিবদ্ধ করিলে দশম গুরুর অসাধারণ কার্যের ফলাফল ও মহতী চেষ্টার পরিণতি বুঝিবার বিশেষ সুবিধা হইত ৷ শিখ ইতিহাসের কেন্দ্রস্থলে গুরু গােবিন্দসিংহ ৷ তিনি যে জাতি সংগঠনে তাহার সমগ্র প্রতিভা ও শক্তি নিয়ােজিত করিলেন, সেই জাতির ইতিহাসই এই মহাপুরুষের প্রকৃত জীবনচরিত ৷ যেমন শিকড় ও ডগার অভাবে কাণ্ড শােভা পায় না, তেমনি শিখ সম্প্রদায়ের পূর্ব ও পর বৃত্তান্তের অভাবে গােবিন্দসিংহের জীবনচরিত অসম্পূর্ণ বােধ হয় ৷ আশা করি লেখক দ্বিতীয় সংস্করণে এই অঙ্গ যােগ দিবেন এবং শিখ মহাপুরুষের ধর্মমত ও সমাজ সংস্কারের বিশদ বর্ণনা করিয়া স্বলিখিত পুস্তক সর্বাঙ্গসুন্দর করিবেন ৷ তাঁহার পুস্তক পাঠে খালসা-সংস্থাপক স্বদেশহিতৈষী মহাবীরের উদার চরিত্র ও অদ্ভুত কাৰ্যকলাপের দিকে মন প্রবলভাবে আকৃষ্ট হয় ৷ যাঁহারা দেশের কাৰ্য্যে আত্মােৎসর্গ করিয়াছেন বা করিতে ইচ্ছুক হন, এই জীবনী তঁহাদের শক্তিবৃদ্ধি করিবে ও ঐশ্বরিক প্রেরণা ৷ দৃঢ়ীভূত করিবে ৷









Let us co-create the website.

Share your feedback. Help us improve. Or ask a question.

Image Description
Connect for updates