CWSA Set of 37 volumes
Writings in Bengali and Sanskrit Vol. 9 of CWSA 715 pages 2017 Edition
Bengali
 PDF   

Editions

ABOUT

All writings in Bengali and Sanskrit including brief works written for the newspaper 'Dharma' and 'Karakahini' - reminiscences of detention in Alipore Jail.

Writings in Bengali and Sanskrit

Sri Aurobindo symbol
Sri Aurobindo

All writings in Bengali and Sanskrit. Most of the pieces in Bengali were written by Sri Aurobindo in 1909 and 1910 for 'Dharma', a Calcutta weekly he edited at that time; the material consists chiefly of brief political, social and cultural works. His reminiscences of detention in Alipore Jail for one year ('Tales of Prison Life') are also included. There is also some correspondence with Bengali disciples living in his ashram. The Sanskrit works deal largely with philosophical and cultural themes. (This volume will be available both in the original languages and in a separate volume of English translations.)

The Complete Works of Sri Aurobindo (CWSA) Writings in Bengali and Sanskrit Vol. 9 715 pages 2017 Edition
Bengali
 PDF   

বাংলা রচনা




“ধর্ম” পত্রিকার সম্পাদকীয়




সম্পাদকীয় – ১৪

ধৰ্ম্ম, ১৪শ সংখ্যা, ২০শে অগ্রহায়ন, ১৩১৬

ট্রান্সভালে ভারতবাসী

ট্রান্সভালবাসী ভারতসন্তান যে দৃঢ়তা ও স্বার্থত্যাগের দৃষ্টান্ত দেখাইয়াছেন ও দেখাইতেছেন, তাহা জগতে অতুলানীয় ৷ প্রাচীন আৰ্য্যশিক্ষা ও আৰ্য্যচরিত্র এই দূর দেশে এই নিঃসহায় পদদলিত কুলীমজুর দোকানদারের প্রাণে যেমন তীব্রভাবে জাগিয়া উঠিয়াছে, ভারতে বঙ্গদেশেও সেইভাবে, সেই পরিমাণে এখনও জাগে নাই ৷ বঙ্গদেশে আমরা বৈধ প্রতিরােধ মুখে সমর্থন করিয়াছি মাত্র, ট্রান্সভালে তাহারা কাৰ্যে সেই প্রতিরােধের চরম দৃষ্টান্ত দেখাইতেছেন ৷ অথচ ভারতে যে সকল সুবিধা ও সহজ ফলসিদ্ধির সম্ভাবনা রহিয়াছে, ট্রান্সলে তাহার লেশমাত্র নাই ৷ এক একবার মনে হয়, ইহা বৃথা চেষ্টা, কোন আশায় ইহারা এত যাতনা, এত ধননাশ, এত অপমান ও লাঞ্ছনা স্বীকার করিতেছেন? ভারতে আমরা ত্রিশ-কোটী ভারত সন্তান, রাজপুরুষগণ ও তাহাদের স্বজাতীয় সহায় মুষ্টিমেয় লােক, এই ত্রিশ-কোটী লােক দশদিন বৈধ প্রতিরােধ করিলে বিনা রক্তপাতে স্বেচ্ছাচার-তন্ত্র আপনি বিনাশপ্রাপ্ত হইবে, এক কোটী লােকও সেই পথ দৃঢ়তার সহিত অবলম্বন করিলে এক বৎসরের মধ্যে শান্ত অনিন্দ্য আইনসঙ্গত উপায়ে রাষ্ট্রবিপ্লবের ফল সুসম্পন্ন হইবে ৷ ট্রান্সভালে মুষ্টিমেয় ভারতবাসী দেশের লােকের সহিত সংঘর্ষে প্রবৃত্ত, কোনও বল নাই, কোনও leverage নাই, তাহারা সকলে জেলে পচিলে দেশচ্যুত হইলে, নির্মূল হইলে গরীব ট্রান্সভালবাসীর অল্পদিন আর্থিক ক্ষতি ও কষ্ট হইবে বটে কিন্তু সেই দেশের, সেই গবর্ণমেন্টের কোন গুরুতর বা স্থায়ী অপকার হইবার সম্ভাবনা নাই, বরং তাহাদের শত্রুগণ এই পরিণামই চান ৷ আখিমীদীস বলিতেন, উত্তোলন-যন্ত্র রাখিবার স্থান যদি পাই, পৃথিবী শূন্যে উত্তোলন করিতে পারি ৷ ইহাদের উত্তোলন-যন্ত্রও নাই, রাখিবার স্থানও নাই, অথচ পৃথিবী শূন্যে উত্তোলন করিতে উদ্যত ৷ তথাপি তাহাদের পরিশ্রম কখনও ব্যর্থ হইবার নহে ৷ মিঃ গান্ধী বলিয়াছেন, আমরা ভারতবাসী, আমরা আধ্যাত্মিক বলে আস্থাবান, আধ্যাত্মিক বলে আমরা সমস্ত বাধা অতিক্রম করিব ৷ ভারতবাসী ভিন্ন এই জ্ঞান, এই শ্রদ্ধা, এই নিষ্ঠা কোন জাতির আছে বা থাকিতে পারে? ইহাই ভারতের মহত্ত্ব যে এই নিষ্ঠার বলে শিক্ষিত অশিক্ষিত সহস্র সহস্ৰ সংসারী সুখ-দুঃখকে তুচ্ছ করিয়া সরল প্রাণে দৃঢ় সাহসে এইরূপ দুষ্কর কাৰ্য্যে ব্রতী হইয়াছেন ৷ হয়ত যে ফলের আকাঙক্ষায় তাহারা যন্ত্রণা ভােগ করিতেছেন, সেই ফল হস্তগত হইবে না, কিন্তু এই মহৎ চেষ্টার মহৎ পরিণাম হইবে, ইহাতে ভারতবাসীর ভবিষ্যৎ উন্নতি সাধিত হইবে, তাহার লেশমাত্র সন্দেহ নাই ৷


টাউনহলের সভা

মিঃ পােলক ট্রান্সভালবাসী ভারতসন্তানদের প্রতিনিধিরূপে এই দেশে আসিয়া ভারতবাসীর সহানুভূতি ও সাহায্য ভিক্ষা করিতেছেন ৷ আমাদের সহানুভূতির অভাব নাই, ক্ষমতার অভাবে আমরা নিরুপায় ও নিশ্চেষ্ট হইয়া রহিয়াছি ৷ আমাদের তিনটী পন্থা আছে ৷ গবর্ণমেন্টের নিকট নিবেদন করিতে পারি, ইহাতে কোন ফলের আশা নাই, গবর্ণমেন্টও ট্রান্সভাল গবর্ণমেন্টের এইরূপ বর্বরােচিত ব্যবহারে অসন্তুষ্ট, কিন্তু আমাদের রাজপুরুষগণ আমাদের অপেক্ষাও নিরুপায় ৷ যে বিষয়ে ভারতের হিত ইংলণ্ডের হিতের বিরােধী, সেই বিষয়ে ভারতীয় রাজপুরুষগণ ইচ্ছাসত্ত্বেও আমাদের হিতসাধনে অক্ষম ৷ ভারতবাসীর ঔপনিবেশিক গবর্ণমেন্টের বিরুদ্ধাচরণ করা ইংলণ্ডের অহিতের, ঔপনিবেশিকগণের ক্রোধ বিফল মনের ভাব নহে, সেই ক্ৰোধ কাৰ্য্যকর ৷ ভারতবাসীর হিতে আঘাত পড়িলে পরাধীন ভারতবাসী কাদিবে, আর কি করিবে? আমরা নাটালে কুলি পাঠাইবার পথ বন্ধ করিতে বলিতেছি, ইহাতে নাটালবাসী যদি অসন্তোষ প্রকাশ করেন, আমাদের গবর্ণমেণ্ট কখনও এই উপায় অবলম্বন করিতে সাহসী হইবেন না ৷ দ্বিতীয় পন্থা, ট্রান্সভালের ভারতবাসীদিগকে অধিক সাহায্যে পুষ্ট করা, বিশেষতঃ তাহাদের বালকদের শিক্ষাদানে এইরূপ সাহায্য করিলে তাহাদের এক গুরুতর অসুবিধা দূরীভূত হইবে ৷ এইরূপ সাহায্য দেওয়া সহজ নহে ৷ ভারতেও অর্থের অশেষ প্রয়ােজন, অর্থের অভাবে কোন চেষ্টা ফলবতী হয় না ৷ তবে এই বিষয়ে গবর্ণমেন্টের সহানুভূতি আছে, গােখলেও দূরবর্তী বৈধ প্রতিরােধের প্রশংসা করিয়াছেন, ভারতের রাজদ্রোহভয়ক্লিষ্ট ধনী সন্তান কেন এই নির্দোষ যুদ্ধে অর্থ সাহায্য করিতে পরাঙ্মুখ হন? তৃতীয় পন্থা, সমস্ত ভারতময় প্রতিবাদের সভা করিয়া গ্রামে গ্রামে ট্রান্সভালবাসী ভারতসন্তানদের অপমান, লাঞ্ছনা, যন্ত্রণা, দৃঢ়তা, স্বার্থত্যাগ জানাইয়া ভারতের সেই আধ্যাত্মিক বল জাগান ৷ কিন্তু সেই কার্য্যের উপযােগী ব্যবস্থা ও কর্মশৃঙ্খলা কোথায় ৷ যে দিন বঙ্গদেশ বােম্বাইয়ের মুখাপেক্ষী না হইয়া নিজের একতা ও বলবৃদ্ধি করিতে শিখিবে, সেইদিন সেই ব্যবস্থা ও কর্মশৃঙ্খলা হইতে পারে, আমাদের দৃষ্টান্ত দেখিয়া অন্যান্য প্রদেশের লােকও সেই পথে ধাবিত হইবে ৷ সেই পৰ্য্যন্ত এই নির্জীব ও অকর্মণ্য অবস্থা থাকিবে ৷


নিৰ্বাসিত বঙ্গসন্তান

এক বৎসর গতপ্রায়, নির্বাসিত বঙ্গসন্তান এখনও নির্বাসনে, কারাগারে ৷ গবর্ণমেন্টের অনুগ্রহপ্রত্যাশীগণ একবর্ষকাল কেবলই বলিতেছেন, এই হইল, কারামুক্তি হইল, মরলী একপ্রকার সম্মত হইলেন, কাল হইবে, অমুক অবসরে হইবে, রাজার জন্মদিনে হইবে, রিফর্ম প্রচার হইলেই হইবে, প্রতিবাদ সভা কর না, গােল কর না, গােল করিলে আমাদের সমস্ত পরিশ্রম পণ্ড হইবে ৷ অথচ সেইদিন ম্যাকডনাল্ড সাহেবের মুখে শুনিলাম ভারতবাসীর নিশ্চেষ্টতায় পার্লামেন্টে কটন প্রভৃতির আন্দোলন নিস্তেজ হইয়া পড়িয়াছে, কেন না বিলাতের লােক বলিতেছে, কই ইহারা গােল করিতেছেন, ভারতে সাড়া শব্দ নাই, তাহাতে বােঝা গেল নিব্বাসনে ভারতবাসী সন্তুষ্ট, নিৰ্বাসিতদের কয়েকজন আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব প্রভৃতিই আপত্তি করিতেছেন, নির্বাসনে লােকমত ক্ষুব্ধ নহে ৷ বিলাতের প্রজার পক্ষে এইরূপ সিদ্ধান্ত অনিবার্য ৷ সমস্ত দেশ নির্বাসনে দুঃখিত ও ক্ষুব্ধ রহিয়াছে, অথচ সকলে নীরবে শান্তভাবে গবর্ণমেন্টের নিগ্রহনীতি শিরােধার্য্য করিলেন, ইহা বৃটিশ জাতির ন্যায় তেজস্বী ও রাজনীতি-কুশল জাতির বােধগম্য নহে ৷ তাহার উপর মাদ্রাজ কংগ্রেস নামে অভিহিত রাজপুরুষ-ভক্তদের মজলিসে বড় বড় নেতাগণ মরলী-মিন্টোর স্তবস্তোত্র করিয়া বয়কট বর্জনপূর্বক গান করিয়াছেন, “আহা, আজ ভারতের কি সুখের সময় ৷” বঙ্গদেশের সুরেন্দ্রনাথ, ভূপেন্দ্রনাথ প্রভৃতি সেই উৎসবে যােগদান করিয়াছিলেন এবং ভারতবাসীর আদরের গােখলে পুণায় গবর্ণমেন্টের “কঠোর ও নির্দয় নিগ্রহনীতির” আবশ্যকতা প্রতিপাদন করিয়া ভারতবাসীর নেতা ও প্রতিনিধিরূপে তাহার সমর্থন করিয়াছেন ৷ এইরূপ রাজ-নীতিতে কোনওকালে কোনও দেশে কোনও রাজনীতিক সুফল লব্ধ হয় নাই, হইবেও না ৷


যুক্ত মহাসভা

সহযােগী “বেঙ্গলী” সেইদিন আবার অসময়ে যুক্ত মহাসভার কথা উত্থাপন করিয়া বলিলেন, যিনি ক্রীডে সহি করিবেন না বৃটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্গত স্বায়ত্তশাসনে ৷ সন্তুষ্ট না হইয়া স্বাধীনতাকেই আদর্শ করেন, তাহার “কংগ্রেসে প্রবেশ অধিকার নাই, তিনি মেহতা গােখলে মজলিসের উপযুক্ত নহেন ৷ এই প্রবন্ধ লইয়া অমৃত-বাজার পত্রিকার সহিত সহযােগীর বাদ-বিবাদ হইয়াছে, “বেঙ্গলী” বলিয়াছেন, এখন বাদ-বিবাদ করা অনুচিত, মিলনের যে অল্প সম্ভাবনা রহিয়াছে, তাহা নষ্ট হইতে পারে ৷ উত্তম কথা ৷ আমরা পূর্বেই বেঙ্গলীকে সেই বিষয়ে সতর্ক করিয়াছিলাম এবং মৌনাবলম্বন করিতে পরামর্শ দিয়াছিলাম ৷ আশা করি যতদিন এই বিষয়ের মীমাংসা না হয়, সহযােগী আবার বাংযম করিবেন ৷ কিন্তু যখন বেঙ্গলী এইরূপ স্বাধীনতা-আদর্শ বৰ্জন করিতে আদেশ প্রচার করিয়াছেন, আমরা তাহার উত্তরে বলিতে বাধ্য যে, আমরা সত্য ও উচ্চ আদর্শ পরিত্যাগ করিয়া মেহতা মজলিসে প্রবেশ করিবার জন্য লালায়িত নহি, আমরা যুক্ত মহাসভা চাই, মেহতা মজলিস চাই না ৷ স্বাধীনচেতা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভারত সন্তানদের প্রবেশের বিরুদ্ধে সেই মজলিসের দ্বার রুদ্ধ তাহা জানি ৷ কনষ্টিটিউশনরূপ অগলি ও ক্রীড নামক তালা দিয়া সযত্নে বন্ধ করা হইয়াছে, তাহা জানি ৷ যখন ভারতের অধিকাংশ ধনী ও লব্ধপ্রতিষ্ঠ রাজনীতিবিদ স্বাধীনতা-আদর্শ প্রকাশ্যে স্বীকার করিতে ভীত হন, তখন আমরাও মহাসভার সেই বিষয়ে জেদ করিতে রাজী নহি, কলিকাতায়ও জেদ করি নাই, সুরাটেও করি নাই ৷ যতদিন সকলে একমত না হই, ততদিন স্বায়ত্তশাসনই কংগ্রেসের উদ্দেশ্য বলিয়া স্বীকার করিতে রাজী আছি ৷ কিন্তু আমাদিগকে সেই উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগতভাবে মত দিতে, সত্যভ্রষ্ট হইতে, মিথ্যা আদর্শ প্রচার করিতে আদেশ করিবার তােমাদের কোনও অধিকার নাই ৷ স্বাধীনতাই আমাদের আদর্শ, তাহা বৃটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্গত হউক বা বহির্ভূত হউক, কিন্তু আইনসঙ্গত উপায়ে সেই আদর্শসিদ্ধি বাঞ্ছনীয় ৷ যদি মেহতা মজলিস মহাসভায় পরিণত করিবার আকাঙ্ক্ষা থাকে, তাহা হইলে সেই রুদ্ধ দ্বারের তালা ভাঙ্গিয়া দিতে হইবে, কনষ্টিটিউশনও দ্বারের অর্গল না হইয়া কর্মের প্রতিষ্ঠা হওয়া আবশ্যক ৷ নচেৎ অন্য প্রতিষ্ঠার উপর মহাসভা সংগঠন করা উচিত ৷ অবশ্যই ইহা আমাদেরই মত, যে কমিটী হুগলীতে নিযুক্ত হইয়াছে, তাহার পরামর্শের পরিণাম অবগত নহি, শেষ ফলের অপেক্ষায় রহিয়াছি ৷


রমেশচন্দ্র দত্ত

শ্রীযুক্ত রমেশচন্দ্র দত্তের পরলােক গমনে বঙ্গদেশের একজন উদ্যমশীল, বুদ্ধিমান ও কৃতি সন্তান কর্মক্ষেত্র হইতে অপসারিত হইয়াছেন ৷ রমেশচন্দ্র অনেক ক্ষেত্রে বীজ বপন করিয়া গিয়াছেন ৷ রাজনীতিতে, রাজ্যশাসনে, বিদ্যাচর্চায়, সাহিত্যে তিনি যশ ও প্রতিষ্ঠালাভ করিয়াছিলেন ৷ তাঁহার একটী পুস্তকদ্বারা ভারতবাসীর মন বয়কটগ্রহণ করিতে প্রস্তুত হইয়াছিল, যদি রমেশচন্দ্রের আর সকল কৰ্ম্ম, পুস্তক ইত্যাদি বিস্মৃতি-সাগরে নিমগ্ন হয়, এই একমাত্র অতি মহৎ কার্য্যে তাহার নাম ভারতের ইতিহাসে অমর হইয়া থাকিবে ৷ কাহারও মৃত্যুতে আমরা দুঃখ প্রকাশ করিতে সম্মত নহি, কারণ আমরা মৃত্যুকে মানি না, মৃত্যু মায়া, মৃত্যু ভ্ৰম ৷ রমেশচন্দ্র মৃত নহেন, এই শরীর ত্যাগ করিয়া গিয়াছেন মাত্র এবং সেই স্থান হইতেও তাহার পরলােকগত আত্মা প্রিয় স্বদেশের অভ্যুত্থানের সাহায্য করিতে নিষিদ্ধ নহে ৷


বুদ্ধগয়া

গত ৩রা ডিসেম্বর প্রত্যুষে, পশ্চিমবঙ্গের ছােটলাট বাহাদুর সদলে মটরকারে করিয়া, বােধ গয়াস্থ প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির দেখিতে গিয়াছিলেন ৷ ঐ প্রাচীন মন্দিরটী গয়া হইতে সাত মাইল দূরে অবস্থিত ৷ দুর্ভাগ্যবশতঃ ঐ প্রাচীন স্থপতিবিদ্যার কৌতূহলােদ্দীপক আদর্শখানি হিন্দু এবং বৌদ্ধগণের ঘােরতর মনােমালিন্যের বিষয় ৷ হইয়া রহিয়াছে ৷ মােহন্ত ছােটলাট বাহাদুরকে বাড়ীটীর সর্বত্র ঘুরিয়া যাবতীয় প্রধান প্রধান দ্রষ্টব্য বিষয় দেখাইয়াছিলেন ৷ অনেকের বিশ্বাস এই যে, যেখানে রাজকুমার সিদ্ধার্থ সৰ্ব্বপ্রথমে বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, মন্দিরটী ঠিক সেই স্থানের উপরে অবস্থিত ৷ যে বৃক্ষতলে বসিয়া তিনি তঁহার নূতন ধৰ্ম্ম আবিষ্কার করিয়াছিলেন বলিয়া শােনা যায়, সেটী এখন বর্তমান নাই ৷ মন্দিরের ভিতরে বদ্ধদেবের একটী প্রকাণ্ড প্রতিমূৰ্ত্তি আছে ৷ এখানে প্রাচীন অশােক রেলিংএর ভগ্নাবশেষ এখনও বিদ্যমান আছে ৷ ইহার অনেকখানি আজিও দাড়াইয়া আছে ৷ ইহা নিঃসন্দেহে অশােকের সমকালীন এবং অন্যূন দুই সহস্র বৎসরের পুরাতন ৷ রেলিংএর অনেকগুলি প্রস্তরখণ্ড পার্শ্ববর্তী বাড়ীগুলির দেওয়াল চাপা পড়িয়াছিল ৷ সেগুলি যথাস্থানে আবার বসান হইয়াছে ৷ দ্বিসহস্রাধিক বর্ষকাল ধরিয়া এই মন্দিরটী সমগ্র প্রাচ্য-ভূখণ্ডের বৌদ্ধগণের একটী প্রধান তীর্থক্ষেত্র হইয়া রহিয়াছে ৷ খৃঃ পূঃ প্রথম শতাব্দীতে ইহা নির্মিত হইয়াছিল ৷









Let us co-create the website.

Share your feedback. Help us improve. Or ask a question.

Image Description
Connect for updates