All writings in Bengali and Sanskrit including brief works written for the newspaper 'Dharma' and 'Karakahini' - reminiscences of detention in Alipore Jail.
All writings in Bengali and Sanskrit. Most of the pieces in Bengali were written by Sri Aurobindo in 1909 and 1910 for 'Dharma', a Calcutta weekly he edited at that time; the material consists chiefly of brief political, social and cultural works. His reminiscences of detention in Alipore Jail for one year ('Tales of Prison Life') are also included. There is also some correspondence with Bengali disciples living in his ashram. The Sanskrit works deal largely with philosophical and cultural themes. (This volume will be available both in the original languages and in a separate volume of English translations.)
আমাদের পুরাতন দার্শনিকগণ যখন জগতের মূলতত্ত্বগুলির অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইলেন, তখন তাহারা এই প্রপঞ্চের মূলে একটী অনশ্বর ব্যাপক বস্তুর অস্তিত্ব অবগত হইলেন ৷ আধুনিক পাশ্চাত্য বিজ্ঞানবিদগণ বহুকালের অনুসন্ধানে বাহ্য-জগতেও এই অনশ্বর সর্বব্যাপী একত্বের অস্তিত্ব সম্বন্ধে কৃতনিশ্চয় হইয়াছেন ৷ তাহারা আকাশকেই ভৌতিক প্রপঞ্চের মূলতত্ত্ব বলিয়া স্থির করিয়াছেন ৷ ভারতের পুরাতন দার্শনিকগণও বহু সহস্র বৎসর পূর্বে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছিলেন যে, আকাশই ভৌতিক প্রপঞ্চের মূল তাহা হইতে আর সকল ভৌতিক অবস্থা প্রাকৃতিক পরিণাম দ্বারা উদ্ভূত হয় ৷ তবে তাহারা এই সিদ্ধান্ত শেষ সিদ্ধান্ত বলিয়া সন্তুষ্ট হন নাই ৷ তাহারা যােগবলে সূক্ষ্মজগতে প্রবেশ করিয়া জানিতে পারিলেন যে, স্থূল ভৌতিক প্রপঞ্চের পশ্চাতে একটী সূক্ষ্ম প্রপঞ্চ আছে, এই প্রপঞ্চের মূল ভৌতিক তত্ত্ব সূক্ষ্ম আকাশ ৷ এই আকাশও শেষ বস্তু নহে, তাহারা শেষ বস্তুকে প্রধান বলিতেন ৷ প্রকৃতি বা জগন্ময়ী ক্রিয়াশক্তি তঁাহার সর্বব্যাপী স্পন্দনে এই প্রধান সৃষ্টি করিয়া তাহা হইতে কোটী কোটী অণু উৎপাদন করেন ৷ এবং এই অণু দ্বারা সূক্ষ্মভূত গঠিত হয় ৷ প্রকৃতি বা ক্রিয়াশক্তি আপনার জন্য কিছুই করেন না; যাঁহার শক্তি, তাঁহারই তুষ্টিসম্পাদনাৰ্থ এই প্রপঞ্চের সৃষ্টি ও নানাবিধ গতি ৷ আত্মা বা পুরুষ এই প্রকৃতির ক্রীড়ায় অধ্যক্ষ ও সাক্ষী ৷ পুরুষ ও প্রকৃতি যাহার স্বরূপ ও ক্রিয়া, সেই অনির্বচনীয় পরব্রহ্ম জগতের অনশ্বর অদ্বিতীয় মূল সত্য ৷ মুখ্য মুখ্য উপনিষদে আৰ্য ঋষিগণের তত্ত্ব অনুসন্ধানে যে সত্যগুলির আবিষ্কার হইয়াছিল, তাহাদের কেন্দ্রস্বরূপ এই ব্রহ্মবাদ ও পুরুষ-প্রকৃতিবাদ প্রতিষ্ঠিত আছে ৷ তত্ত্বদর্শিগণ এই মূল সত্যগুলি লইয়া নানা তর্ক ও বাদবিবাদে ভিন্ন ভিন্ন চিন্তাপ্রণালী সৃষ্টি করিলেন ৷ যাঁহারা ব্রহ্মবাদী তাহারা বেদান্ত দর্শনের প্রবর্তক; যাঁহারা প্রকৃতিবাদের পক্ষপাতী তাঁহারা সাঙ্খদর্শন প্রচার করিলেন ৷ তাহা ভিন্ন অনেকে পরমাণুকেই ভৌতিক প্রপঞ্চের মূলতত্ত্ব বলিয়া স্বতন্ত্র পথের পথিক হইলেন ৷ এইরূপ নানা পন্থা আবিষ্কৃত হইবার পর, শ্রীকৃষ্ণ গীতায় এই সকল চিন্তাপ্রণালীর সমন্বয় ও সামঞ্জস্য স্থাপন করিয়া ব্যাসদেবের মুখে উপনিষদের সত্যগুলি পুনঃপ্রবর্তিত করিলেন ৷ পুরাণকর্তাগণও ব্যাসদেবের রচিত পুরাণকে আধার করিয়া সেই সত্যগুলির নানা ব্যাখ্যা – উপন্যাস ও রূপকচ্ছলে সাধারণ লােকের নিকট উপস্থিত করিলেন ৷ ইহাতে বিদ্বানমণ্ডলীর বাদবিবাদ বন্ধ হইল না, তাহারা স্ব স্ব মত প্রকাশপূর্বক বিশদরূপে দর্শনশাস্ত্রের বিভিন্ন শাখার সিদ্ধান্তসকল তর্ক দ্বারা প্রতিপন্ন করিতে লাগিলেন ৷ আমাদের ষড়দর্শনের আধুনিক স্বরূপ এই পরবর্তী চিন্তার ফল ৷ শেষে শঙ্করাচাৰ্য্য দেশময় বেদান্ত প্রচারের অপূৰ্ব্ব ও স্থায়ী ব্যবস্থা করিয়া সাধারণ লােকের হৃদয়ে বেদান্তের আধিপত্য বদ্ধমূল করিলেন ৷ তাহার পরে আর পাঁচটী দর্শন অল্পসংখ্যক বিদ্বানের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হইয়া রহিল বটে, কিন্তু তাহাদের আধিপত্য ও প্রভাব চিন্তা-জগৎ হইতে প্রায় তিরােহিত হইল ৷ সৰ্বজনসম্মত বেদান্ত দর্শনের মধ্যে মতভেদ উৎপন্ন হইয়া তিনটী মুখ্য শাখা ও অনেক গৌণ শাখা স্থাপিত হইল ৷ জ্ঞানপ্রধান অদ্বৈতবাদ এবং ভক্তিপ্রধান বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ ও দ্বৈতবাদের বিরােধ এখনও হিন্দুধর্মের মধ্যে বর্তমান ৷ জ্ঞানমার্গী, ভক্তের উদ্দাম প্রেম ও ভাবপ্রবণতাকে উন্মাদলক্ষণ বলিয়া উড়াইয়া দেন; ভক্ত, জ্ঞানমার্গীর তত্ত্বজ্ঞানস্পৃহাকে শুষ্ক তর্ক বলিয়া উপেক্ষা করেন ৷ উভয় মতই ভ্রান্ত ও সঙ্কীর্ণ ৷ ভক্তিশূন্য তত্ত্বজ্ঞানে অহঙ্কার বৃদ্ধি হইয়া মুক্তিপথ অবরুদ্ধ থাকে, জ্ঞানশূন্য ভক্তি অন্ধবিশ্বাস ও ভ্রমসঙ্কুল তামসিকতা উৎপাদন করে ৷ প্রকৃত উপনিষদ-দর্শিত ধৰ্ম্মপথে জ্ঞান ভক্তি ও কর্মের সামঞ্জস্য ও পরস্পর সহায়তা রক্ষিত হইয়াছে ৷
যদি সৰ্বব্যাপী ও সৰ্বজনসম্মত আৰ্য্যধৰ্ম্ম প্রচার করিতে হয়, তাহা হইলে তাহা প্রকৃত আৰ্যজ্ঞানের উপর সংস্থাপিত করিতে হইবে ৷ দর্শনশাস্ত্র চিরকাল একপক্ষ-প্রকাশক ও অসম্পূর্ণ ৷ সমস্ত জগৎ এক সঙ্কীর্ণ মতের অনুযায়ী তর্ক দ্বারা সীমাবদ্ধ করিতে গেলে সত্যের একদিক বিশদরূপে ব্যাখ্যাত হয় বটে, কিন্তু অপরদিকের অপলাপ হয় ৷ অদ্বৈতবাদীদিগের মায়াবাদ এইরূপ অপলাপের দৃষ্টান্ত ৷ ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা, ইহাই মায়াবাদের মূলমন্ত্র ৷ এই মন্ত্র যে জাতির চিন্তাপ্রণালীর মূলমন্ত্ররূপে প্রতিষ্ঠিত হয়, সেই জাতির মধ্যে জ্ঞানলিপ্সা, বৈরাগ্য ও সন্ন্যাসপ্রিয়তা বর্ধিত হয়, রজঃশক্তি তিরােহিত হইয়া সত্ত্ব ও তমঃ প্রাবল্যপ্রাপ্ত হয় এবং একদিকে জ্ঞানপ্রাপ্ত সন্ন্যাসী, সংসারে জাতবিতৃষ্ণ প্রেমিক ভক্ত ও শান্তিপ্রার্থী বৈরাগীর সংখ্যাবৃদ্ধি, অপরদিকে তামসিক অজ্ঞ অপ্রবৃত্তি-মুগ্ধ অকর্মণ্য সাধারণ প্রজার দুর্দশাই সংঘটিত হয় ৷ ভারতে মায়াবাদের প্রচারে তাহাই ঘটিয়াছে ৷ জগৎ যদি মিথ্যাই হয়, তবে জ্ঞানতৃষ্ণা ভিন্ন সৰ্ব্বচেষ্টা নিরর্থক ও অনিষ্টকর বলিতে হয় ৷ কিন্তু মানুষের জীবনে জ্ঞানতৃষ্ণা ভিন্ন অনেক প্রবল ও উপযােগী বৃত্তি ক্রীড়া করিতেছে, সেই সকলের উপেক্ষায় কোনও জাতি টিকিতে পারে না ৷ এই অনর্থের ভয়ে শঙ্করাচাৰ্য্য পারমার্থিক ও ব্যবহারিক বলিয়া জ্ঞানের দুইটি অঙ্গ দেখাইয়া অধিকারভেদে জ্ঞান ও কর্মের ব্যবস্থা করিলেন ৷ কিন্তু তিনি সেই যুগের ক্রিয়াসঙ্কুল কৰ্ম্মমার্গের তীব্র প্রতিবাদ করায় বিপরীত ফল ফলিয়াছে ৷ শঙ্করের প্রভাবে সেই কৰ্ম্মমার্গ লুপ্তপ্রায় হইল, বৈদিক ক্রিয়াসকল তিরােহিত হইল, কিন্তু সাধারণ লােকের মনে জগৎ মায়াসৃষ্ট, কৰ্ম্ম অজ্ঞানপ্রসূত ও মুক্তির বিরােধী, অদৃষ্টই সুখ-দুঃখের কারণ ইত্যাদি তমঃ-প্রবর্তক মত এমন দৃঢ়রূপে বসিয়া গেল যে, রজঃশক্তির পুনঃপ্রকাশ অসম্ভব হইয়া উঠিল ৷ আৰ্যজাতির রক্ষার্থ ভগবান পুরাণ ও তন্ত্রপ্রচারে মায়াবাদের প্রতিরােধ করিলেন ৷ পুরাণে উপনিষদপ্রসূত আৰ্য্যধর্মের নানাদিক কতকটা রক্ষিত হইল, তন্ত্র শক্তি-উপাসনায় মুক্তি ও ভক্তি রূপ দ্বিবিধ-ফল-প্রাপ্ত্যর্থ লােককে কর্মে প্রবৃত্ত করাইলেন ৷ প্রায়ই যাঁহারা জাতিরক্ষাৰ্থ যুদ্ধ করিয়াছেন, প্রতাপসিংহ, শিবাজী, প্রতাপাদিত্য, চাদরায় প্রভৃতি প্রায় সকলেই শক্তি-উপাসক বা তান্ত্রিক যােগীর শিষ্য ছিলেন ৷ তমঃপ্রসূত অনর্থের নিষেধ করিবার জন্য গীতায় শ্রীকৃষ্ণ কৰ্ম্মসন্ন্যাসের বিরােধী উপদেশ দিয়াছেন ৷
মায়াবাদ সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত ৷ উপনিষদেও বলা হইয়াছে যে, ঈশ্বর পরম মায়াবী, তাহার মায়া দ্বারা দৃশ্য জগৎ সৃষ্টি করিয়াছেন ৷ গীতায়ও শ্রীকৃষ্ণ বলিয়াছেন যে, ত্রৈগুণ্যময়ী মায়াই সমস্ত জগৎ ব্যাপ্ত করিয়া রহিয়াছে ৷ একই অনির্বচনীয় ব্রহ্ম জগতের মূল সত্য, সমস্ত প্রপঞ্চ তাহার অভিব্যক্তি মাত্র, স্বয়ং পরিণামশীল ও নশ্বর ৷ যদি ব্রহ্ম একই সনাতন সত্য হয়, ভেদ ও বহুত্ব কোথা হইতে প্রসূত, কিসের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত, কিরূপে উৎপন্ন, এই প্রশ্ন অনিবার্য ৷ ব্রহ্ম যদি একমাত্র সত্য হয়, তবে ব্রহ্ম হইতেই ভেদ ও বহুত্ব প্রসূত, ব্রহ্মের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত, ব্রহ্মের কোন অনির্বচনীয় শক্তি দ্বারা উৎপন্ন, ইহাই উপনিষদের উত্তর ৷ সেই শক্তিকে কোথাও মায়াবীর মায়া, কোথাও পুরুষ-অধিষ্ঠিত প্রকৃতি, কোথাও ঈশ্বরের বিদ্যা-অবিদ্যাময়ী ইচ্ছাশক্তি বলা হইয়াছে ৷ ইহাতে তার্কিকের মন সন্তুষ্ট হইতে পারে নাই; কিরূপে এক বহু হয়, অভেদে ভেদ উৎপন্ন হয়, তাহার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা হয় নাই ৷ শেষে একটী সহজ উত্তর মনে উদয় হইল, এক বহু হয় না, সনাতন অভেদে ভেদ উৎপন্ন হইতে পারে না, বহু মিথ্যা, ভেদ অলীক, সনাতন অদ্বিতীয় আত্মার মধ্যে স্বপ্নের ন্যায় ভাসমান মায়া মাত্র, আত্মাই সত্য, আত্মাই সনাতন ৷ ইহাতেও গােল, মায়া আবার কি, মায়া কোথা হইতে প্রসূত, কিসের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত, কিরূপে উৎপন্ন হয়? শঙ্কর উত্তর করিলেন, মায়া কি তাহা বলা যায় না, মায়া অনির্বচনীয়, মায়া প্রসূত হয় না, মায়া চিরকাল আছে অথচ নাই ৷ গােল মিটিল না, সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া গেল না ৷ এই তর্কে এক অদ্বিতীয় ব্রহ্মের মধ্যে আর-একটী সনাতন অনির্বচনীয় বস্তু প্রতিষ্ঠিত হইল, একত্ব রক্ষিত হইল না ৷
শঙ্করের যুক্তি হইতে উপনিষদের যুক্তি উৎকৃষ্ট ৷ ভগবানের প্রকৃতি জগতের মূল, সেই প্রকৃতি শক্তি, সচ্চিদানন্দের সচ্চিদানন্দময়ী শক্তি ৷ আত্মার পক্ষে ভগবান পরমাত্মা, জগতের পক্ষে পরমেশ্বর ৷ পরমেশ্বরের ইচ্ছা শক্তিময়ী; সেই ইচ্ছার দ্বারাই এক হইতে বহু, অভেদে ভেদ উৎপন্ন হয় ৷ পরমার্থের হিসাবে ব্ৰহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা, পরামায়াপ্রসূত, কারণ ব্রহ্ম হইতে উৎপন্ন হয়, ব্রহ্মের মধ্যে বিলীন হয় ৷ দেশকালের মধ্যেই প্রপঞ্চের অস্তিত্ব, ব্রহ্মের দেশকালাতীত অবস্থায় তাহার অস্তিত্ব নাই ৷ ব্রহ্মের মধ্যে প্রপঞ্চযুক্ত দেশকাল; ব্রহ্ম দেশকালের মধ্যে আবদ্ধ নহে ৷ জগৎ ব্রহ্ম হইতে প্রসূত, ব্রহ্মের মধ্যে বর্তমান, সনাতন অনিৰ্দেশ্য ব্রহ্মে আদ্যন্তবিশিষ্ট জগতের প্রতিষ্ঠা, তত্র ব্রহ্মের বিদ্যা-অবিদ্যাময়ী শক্তি দ্বারা সৃষ্ট হইয়া বিরাজ করিতেছে ৷ যেমন মানুষের মধ্যে প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করিবার শক্তি ব্যতীত কল্পনা দ্বারা অলীক বস্তু উপলব্ধি করিবার শক্তি বিদ্যমান, তেমনি ব্রহ্মের মধ্যেও বিদ্যা ও অবিদ্যা, সত্য ও অনৃত আছে ৷ তবে অনৃত দেশকালের সৃষ্টি ৷ যেমন মানুষের কল্পনা দেশকালের গতিতে সত্যে পরিণত হয়, তেমনই যাহাকে আমরা অনৃত বলি, তাহা সর্বথা অনৃত নহে, সত্যের অননুভূত দিক মাত্র ৷ প্রকৃতপক্ষে সর্বং সত্যং; দেশকালাতীত অবস্থায় জগৎ মিথ্যা, কিন্তু আমরা দেশকালাতীত নহি, আমরা জগৎ মিথ্যা বলিবার অধিকারী নহি ৷ দেশকালের মধ্যে জগৎ মিথ্যা নহে, জগৎ সত্য ৷ যখন দেশকালাতীত হইয়া ব্রহ্মে বিলীন হইবার সময় আসিবে ও শক্তি উৎপন্ন হইবে, তখন আমরা জগৎ মিথ্যা বলিতে পারিব, অনধিকারী বলিলে মিথ্যাচার ও ধর্মের বিপরীত গতি হয় ৷ আমাদের পক্ষে ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা বলা অপেক্ষা ব্ৰহ্ম সত্য, জগৎ ব্রহ্ম বলা উচিত ৷ ইহাই উপনিষদের উপদেশ, সৰ্ব্বং খন্বিদং ব্রহ্ম, এই সত্যের উপর আৰ্য্যধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠিত ৷
Home
Sri Aurobindo
Books
Bengali
Share your feedback. Help us improve. Or ask a question.