CWSA Set of 37 volumes
Writings in Bengali and Sanskrit Vol. 9 of CWSA 715 pages 2017 Edition
Bengali
 PDF   

Editions

ABOUT

All writings in Bengali and Sanskrit including brief works written for the newspaper 'Dharma' and 'Karakahini' - reminiscences of detention in Alipore Jail.

Writings in Bengali and Sanskrit

Sri Aurobindo symbol
Sri Aurobindo

All writings in Bengali and Sanskrit. Most of the pieces in Bengali were written by Sri Aurobindo in 1909 and 1910 for 'Dharma', a Calcutta weekly he edited at that time; the material consists chiefly of brief political, social and cultural works. His reminiscences of detention in Alipore Jail for one year ('Tales of Prison Life') are also included. There is also some correspondence with Bengali disciples living in his ashram. The Sanskrit works deal largely with philosophical and cultural themes. (This volume will be available both in the original languages and in a separate volume of English translations.)

The Complete Works of Sri Aurobindo (CWSA) Writings in Bengali and Sanskrit Vol. 9 715 pages 2017 Edition
Bengali
 PDF   

বাংলা রচনা




বেদ ও উপনিষদ




উপনিষদে পূর্ণযোগ

পূর্ণযােগ, নরদেহে দেবজীবন, আত্মপ্রতিষ্ঠিত, ভগবৎশক্তিচালিত পূৰ্ণলীলা ৷ যাহাকে আমরা মনুষ্যজন্মের চরম উদ্দেশ্য নির্দেশ করিয়া প্রচার করি, এই সিদ্ধান্তের মূল ভিত্তি যেমনই কোনও বুদ্ধি-গঠিত নূতন চিন্তা নহে, তেমনই কোনও প্রাচীন পুঁথির হরফ, কোনও লেখা-শাস্ত্রের প্রমাণ বা দার্শনিক সূত্রের দোহাই তাহার নহে ৷ ভিত্তি পূর্ণতর অধ্যাত্মজ্ঞান, ভিত্তি আত্মায় বুদ্ধিতে হৃদয়ে প্রাণে দেহে ভাগবত সত্তার জ্বলন্ত অনুভূতি ৷ এই জ্ঞান কিছু নূতন আবিষ্কার নয়, অতি পুরাতন, নিতান্ত সনাতন ৷ এই অনুভূতি বেদের প্রাচীন ঋষির, উপনিষদের সত্য-দ্রষ্টা চরম জ্ঞানীর, – “সত্যতঃ কবয়ঃ” যাহারা, তাহাদেরই অনুভূতি ৷ কলির পতিত ভারতের নৈরাশ্যঘেরা ক্ষুদ্রাশয়তায় ও বিফল প্রযত্ন প্রাণে নূতন শােনায় বটে, – যেখানে অধিকাংশই আধমানুষ হইয়া জীবন যাপন করিতে সন্তুষ্ট, পুরা মনুষ্যত্বের সাধনা কজন করে, সেখানে নরদেবত্বের কা কথা ৷ কিন্তু এই আদর্শ লইয়াই আমাদের শক্তিধর আৰ্য পূর্বপুরুষেরা জাতির প্রথম জীবন গঠন করিলেন ৷ এই জ্ঞানসূর্য্যের উল্লাসভরা ঊষাকালে আত্মস্থ আনন্দবিহঙ্গের সােমরসপ্লাবিতকণ্ঠে বেদগানের আহ্বানধ্বনি উঠিয়া বিশ্বদেবতার চরণপ্রান্তে পৌঁছিল ৷ মনুষ্যের আত্মায়, মনুষ্যের জীবনে সর্ববিধ দেবত্ব গঠন দ্বারা সেই অমর বিশ্বদেবের মহীয়সী প্রতিমূর্তি স্থাপন করার উচ্চাশা ছিল ভারত-সভ্যতার প্রথম বীজমন্ত্র ৷ ক্রমশঃ সেই মন্ত্র ভুলিয়া যাওয়া, হ্রাস করা, বিকৃত করা, এই দেশের ও এই জাতির অবনতি ও দুর্গতির কারণ ৷ আবার সেই মন্ত্র উচ্চারণ, আবার সেই সিদ্ধির সাধনা, পুনরুত্থান ও উন্নতির একমাত্র শ্রেষ্ঠ পথ ও একমাত্র অনিন্দ্য উপায় ৷ কেননা, ইহাই পূর্ণ সত্য, – যেমন ব্যষ্টির তেমনি সমষ্টির সাফল্য এইখানেই ৷ মনুষ্যের সাধনা, জাতির গঠন, সভ্যতার সৃষ্টি ও ক্রমবিকাশ, এই সকলের গূঢ় তাৎপৰ্য্য ইহাই ৷ অন্য যে সকল উদ্দেশ্যের পিছনে আমাদের প্রাণ ও বুদ্ধি ছুটিয়া হয়রান হয়, সে সকল গৌণ উদ্দেশ্য আংশিক, দেবতাদের সত্য অভিসন্ধির সহায় মাত্র ৷ অন্য যে সকল খণ্ড-সিদ্ধি লইয়া আমরা উল্লসিত হই, সেই সকল কেবল পথের আরামগৃহ, মার্গস্থ পৰ্ব্বতশিখরে জয়পতাকা প্রােথিত করা ৷ আসল উদ্দেশ্য আসল সিদ্ধি মনুষ্যের মধ্যে, কেবল কয়েকজন বিরল মহাপুরুষে নয়, সকলের মধ্যে, জাতিতে, বিশ্বমানবে ব্রহ্মের বিকাশ ও স্বয়ংপ্রকাশ, ভগবানের প্রকট শক্তিসঞ্চারণ, জ্ঞানময় আনন্দময় লীলা ৷

এই জ্ঞান, এই সাধনের প্রথম রূপ ও অবস্থা আমরা দেখিতে পাই ঋগ্বেদে ৷ ভারত-ইতিহাসের মুখেই আৰ্য্যধৰ্ম্ম মন্দিরের দ্বারস্থ স্তুপে খােদিত আদিলিপি ৷ ঋগ্বেদই যে তাহার আদিম বাণী, সেকথা আমরা ঠিক নিঃসন্দেহে বলিতে পারি , কারণ ঋগ্বেদের ঋষিগণও স্বীকার করেন যে তাঁহাদের অগ্রবর্তী যাঁহারা ছিলেন, আর্য জাতির আদি পূর্বপুরুষেরা, “পূৰ্ব্বে পিতরাে মনুষ্যা”, এই পন্থা আবিষ্কার করিয়াছিলেন, তাহাদেরই দেবজীবনলাভের সাধনমার্গ পরবর্তী মানবের সত্যের ও অমৃতত্বের পন্থা ৷ তবে ইহাই বলেন, প্রাচীন ঋষিরা যাহা দেখাইয়াছিলেন নূতন ঋষিরাও তাহাই অনুসরণ করিতেছেন, যে দিব্য বা উচ্চারণ করিয়াছিলেন পিতৃগণের সেই বাণীর প্রতিধ্বনি দেখিতে পাই ঋগ্বেদের মন্ত্রে, অতএব ঋগ্বেদে এই ধর্মের যে রূপ দেখিতে পাই তাহাকেই তাহার আদিরূপ বলা যায় ৷ ইহারই অতি মহৎ অতি উদার রূপান্তর উপনিষদের জ্ঞান, বেদান্তের সাধনা ৷ বেদের বৈশ্বদেব্য জ্ঞান ও দেবজীবন সাধনা, উপনিষদের আত্মজ্ঞান ও ব্রহ্মপ্রাপ্তির সাধনা দুইটী সমন্বয়ধৰ্ম্মের উপর প্রতিষ্ঠিত – বিশ্বপুরুষ ও বিশ্বশক্তির নানা দিক, ব্রহ্মের সকল তত্ত্বকে একত্র করিয়া বৈশ্বদেব্য, সৰ্বম্ ব্রহ্মের অনুভূতি ও অনুশীলন তাহার মূল কথা ৷ তাহার পরে বিশ্লেষণের যুগ আরম্ভ হয় ৷ সত্যের একটী না একটী খণ্ড দর্শন লইয়া বেদান্তের পূর্ব ও উত্তর মীমাংসা, সাংখ্য যােগ ন্যায় বৈশেষিক বিভিন্ন সাধনা সৃষ্টি করে; শেষে খণ্ড দর্শনের খণ্ড লইয়া অদ্বৈতবাদ, দ্বৈতবাদ, বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ, বৈষ্ণব শৈব পুরাণ তন্ত্র সমন্বয়ের চেষ্টাও কোনও দিন থামে নাই, গীতায়, তন্ত্রে, পুরাণেও সেই চেষ্টা দেখি, প্রত্যেকে কতকটা কৃতার্থও হইয়াছে, অনেক নূতন অধ্যাত্ম অনুভূতিও অর্জন করা হইয়াছে, তবে বেদ উপনিষদের তুল্য ব্যাপকতা আর পাই না ৷ ভারতের আদিম অধ্যাত্মবাণী যেন বুদ্ধির অতীত কোনও সৰ্বব্যাপী উজ্জ্বল জ্ঞানালােক হইতে উদ্ভূত, যাহাকে অতিক্রম করা দূরের কথা, যেখানে পৌঁছানও বুদ্ধিপ্রধান পরবর্তী যুগদের অসাধ্য বা কঠিন হইয়া যায় ৷









Let us co-create the website.

Share your feedback. Help us improve. Or ask a question.

Image Description
Connect for updates